ভারতের গণমাধ্যমে বিগত কয়েকদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে তিন স্পিনার তত্ত্ব। রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদবের ত্রিফলা আক্রমণ দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে, এমন কথাই সামনে এসেছিল বারবার। গতকাল প্রেস কনফারেন্সে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার কথাতেও আভাস মিলেছে স্পিন অলরাউন্ডারদের থাকার কথা।
ভারতের স্কোয়াডে তিনজন স্পিনিং অলরাউন্ডার আছেন। রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। এদের মাঝে জাদেজা এবং অক্ষরের সঙ্গে চায়নাম্যান কুলদীপকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রকট। কিন্তু ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের দাবি, গতকালের শেষ অনুশীলন সেশনেই একাদশ পরিকল্পনায় খানিক রদবদল করেছেন কোচ গৌতম গম্ভীর।
শেষ মুহূর্তের খবর বলছে রবীন্দ্র জাদেজার পরিবর্তে ওয়াশিংটন সুন্দরকে বাংলাদেশের বিপক্ষে নামাতে চান কোচ গৌতম গম্ভীর। সেক্ষেত্রে জাদেজা বা অক্ষর প্যাটেলের মধ্যে কোনো একজনকে একাদশে নাও দেখা যেতে পারে। যদিও এনডিটিভি জানিয়েছে, শেষ সময়ে এসে বাদ পড়ছেন অভিজ্ঞ স্পিন অলরাউন্ডার জাদেজা।
মূলত এই জল্পনা-কল্পনা উসকে দিয়েছিল টুর্নামেন্টের ব্রডকাস্টিং পার্টনার স্টার স্পোর্টস। ভারতের অনুশীলনের ফুটেজ দেখানোর সময়ে দেখা যায়, জাদেজার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেছিলেন কোচ গম্ভীর। এরপরেই তাকে আলিঙ্গন করেন। সেসময় টিভিতে প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের কাছে প্রশ্ন করা হয়, এর মানে কি জাদেজা বাদ পড়ছেন শুরুর একাদশ থেকে? উত্তরে বাঙ্গার জানান, অনুশীলনের সময়ে কোচদের এমন অঙ্গভঙ্গি বা আলিঙ্গন সাধারণত বাদ পড়ারই ইঙ্গিত দেয়।
একই কথা শোনা যায় নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দায়িত্বে থাকা মাইক হেসনের কাছ থেকে। এরপরেই মূলত ভারতীয় গণমাধ্যমে শুরু হয় জাদেজার বাদ পড়ার খবর।
সম্প্রতি শেষ হওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ভারত তার মাস্টার প্ল্যান দেখিয়েছে। কোচ গৌতম গম্ভীর এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্লেয়িং ইলেভেনে তিনজন স্পিনারকে সুযোগ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচেও এমন কিছুরই ধারণা করা হচ্ছিল। প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক রোহিতও দিয়েছিলেন একই আভাস।
সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বললেন, ‘যখন বিপক্ষ দল তিনজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিয়ে মাঠে নামে, তখন তো কোনো কথা হয় না। তখন তো কেউ বলে না যে ওরা ৬ পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছে। আমাদের দলে ২ স্পিনার এবং ৩ অলরাউন্ডার রয়েছে। আমি ব্যাপারটা একেবারেই ৫ স্পিনার হিসেবে দেখছি না।’
খুলনা গেজেট/এনএম